ভারতীয় সংবিধান কিভাবে শিশু সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করে
ভারতীয় সংবিধানে শিশুদের জন্য কিছু অধিকার কয়েকটি নির্দিষ্ট ধারায় নথিবদ্ধ আছে, যেমন :
– সাম্যের অধিকার (১৪নং ধারা)
– বৈষম্যহীনতার অধিকার (১৫নং ধারা)
– নারী এবং শিশুদের জন্য কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তৈরী করা (১৫(৩)নং ধারা)
– জীবন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার (২১নং ধারা)
– ৬-১৪ বছরের শিশুদের জন্য অবৈতনিক এবং আবশ্যিক শিক্ষার অধিকার (২১ক ধারা)
– পাচার হওয়া থেকে এবং বলপূর্বক শিশু শ্রম থেকে সুরক্ষার অধিকার (২৩নং ধারা)
– সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার অধিকার (২৯নং ধারা)
– ১৪ বছর বয়সের আগে কোনো কারখানা, কয়লা খনি এবং যে কোনরকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হওয়া থেকে নিবৃতির অধিকার (২৪নং ধারা)
ভারতীয় সংবিধান কিভাবে শিশু সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করে
নিম্নলিখিত আইনগুলি শিশু সুরক্ষার সাথে সম্পকিত —
– গর্ভবধারণের আগে এবং জন্মের আগে ভ্রণ নির্ণায়ক কৌশলসমূহের (লিঙ্গ নির্ধারণের নিবারণ) আইন, ১৯৯৪ (Pre-Conception and Pre-Natal Diagnostic Techniques (Prohibition of Sex Selection) Act 1994)
– বাল্য বিবাহ নিবারন আইন, ২০০৬ (Child Marriage Prohibition Act, 2006)
– শিশু শ্রমিক (নিবারন ও নিয়ন্ত্রন) আইন, ১৯৮৬ (Child Labour (Prohibition and Regulation Act – 1986)
– অর্থনৈতিক পাচার প্রতিরোধ আইন , ১৯৫৬ (Immoral Traffic Prevention Act 1956)
– অক্ষমতা প্রতিরোধকারী (সমান সুযোগ প্রদানকারী, অধিকার সুরক্ষা ও পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ সুনিশ্চিতকারী)
আইন (Persons with Disabilities (Equal Opportunities, Protection of Rights and Full Participation) Act, 1995)
– কিশোর ন্যায় বিচার (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইন ২০০০ এবং আইনি সংশোধন, ২০০৬ (Juvenile Justice (Care & Protection of Children) Act, 2000 and its Amendment, 2006)
– শিশুর অধিকারগুলির জন্য শিশু সুরক্ষা কমিশন আইন, ২০০৫ (Commission for Protection of Child Rights Act, 2005)
– শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯ (Right of Children to Free and Compulsory Education Act, 2009)
– যৌন নিগ্রহ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন (Protection of Children from Sexual Offences Act, 2012)
উপরিল্লিখিত আইনগুলির প্রণয়নের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নির্দেশাবলী (Rules) তৈরী করেছেন। এগুলি ছাড়াও অতিরিক্ত এমন অসংখ্য ধারা ভারতীয় দন্ডবিধিতে আছে যেগুলি শিশু সুরক্ষা সুনিশ্চিত করে এবং যারা শিশুর সুরক্ষার অধিকারকে লঙ্ঘন করে তাদের যথাযথ শাস্তি প্রদানে সহায়তা করে।